ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁও বিএনপিতে প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্ব: ক্ষুব্ধ মূল ধারার রাজনীতিবিদরা

zবার্তা পরিবেশক :::

কক্সবাজার সদর উপজেলা ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্বে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। দলীয় কর্মকান্ডের নামে প্রবাসীদের অনুদানের টাকা আতœসাৎ, ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থানসহ নানা কারণে অনেকেই এখন মুখ খেলাতে শুরু করেছেন।

অভিযোগ ওঠেছে খোদ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলম ও ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএনপি ও ছাত্রদল পদ বহনকারী অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান করেছেন। জালালাবাদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। অভিযোগ ওঠেছে, দলের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা এনে ভাগবাটোয়ারা করারও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঈদগাঁও ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন জনি ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলম আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইমরুল হাসান রাশেদের পক্ষ হয়ে কাজ করেছে। তার জন্য প্রবাসে থাকা আতœীয় স্বজনের কাছ থেকে ভোট চেয়েছেন। ভোটের সময় ঘরে ঘরে গিয়ে তারা ক্যাম্পিনও করেছেন। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভও করেছেন। কারন ওই প্রার্থী ছিলেন, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলমের ভাতিজা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আব্দুশ শুক্কুরকে দলের অর্থ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে অনেক অর্থ সংগ্রহ করেছেন। যেসব অর্থ তারা নিজেরাই পকেট পুরেছেন বলে দলের অনেকেই অভিযোগ করেন।

শুধু তারা নয়, ঈদগাঁও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শফি কাজ করেছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ হয়ে। ঈদগাঁহ বিএনপির সভাপতি আব্দুর সালামও একই কাজ করেছেন। এছাড়া ইসলামাবাদ বিএনপির সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়াও এই অপকর্মটি করেছেন।

অন্যদিকে প্রবাসী ঈদগাঁও বিএনপি সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক নামধারী আব্দুর শুক্কুর নির্বাচনের খাত দেখিয়ে অন্যান্য প্রবাসী বিএনপিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

একের পর এক কিছু অসাধু ব্যক্তি বিএনপির ব্যানারে ডুকে এসব অপকর্ম চালাতে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। দলের দূরাবস্থার সময় তারাও যেন সুযোগ পেয়ে বসেছে।

এ অবস্থায় দলের মানক্ষুন্নকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মূল ধারার বিএনপি রাজনীতিবিদরা। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

এমনও অভিযোগ রয়েছে, যারা অনৈতিকভাবে বা অর্থের বিনিময়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের দায়িত্ব পেয়েছে তারাই এই অপকর্ম করছে। এর জন্য এসব অসাধু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি দোষি যারা তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। কারন এর ফলে ঈদগাঁহ বিএনপি ও ছাত্রদলের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। অনেকের বলছে সরকার দলের কাছে গ্রহণযোগ্যতার জন্য বিএনপি নামধারি চিহ্নিত এই লোকেরা এমটা করছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: